শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমা জোয়ারের আড়াই হাজার ঘরবাড়ি-২১০০মে:টন ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত লবণচাষিরা পানি থেকে লবণ উত্তোলন করছে-ছবি: কক্সবাজার ভয়েস ডটকম

বিশেষ প্রতিবেদক:
ঘুর্ণিঝড় ইয়াস ও পুর্নিমা জোয়ারের তান্ডবে গত দুদিনে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকায় আড়াই হাজারেরও বেশি বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাঁচ কিলোমিটার বেরিবাধ নষ্ট হয়েছে। লবণ নষ্ট হয়েছে দুই হাজার একশত মেট্রিক টন। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে এই এই তথ্য জানা গেছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উপজেলা গুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতির পুর্নাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যায়নি। তবে দুই দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পুর্নাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে আমরা আড়াই হাজার জেনেছি।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পুর্নিমা জোয়ারে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়ন সদর উপজেলার গোমাতলী ইসলামপুর ইউনিয়ন এবং সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন জোয়ারের তান্ডবে দ্বীপের জেটিটি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেটির পল্টন ভেংগে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে দ্বীপের বাড়ি ঘর ও পর্যটন রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। তিনি জানান জোয়ারের আঘাতে দ্বীপের চারিদিকে ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে।

ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানি সর্বোচ্চ পাঁচ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পাওয়ায় বেরিবাধ না থাকায় উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেয়ারের আঘাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউগাছেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় ঝাউগাছ উপড়ে গেছে। ভাংগন ধরেছে সৈকতের বালিয়াড়ি।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশ (বিসিক) এর লবন শিল্প প্রকল্পের ডিজিএম মো: জাফর ইকবাল জানিয়েছেন, জোয়ারের পানি ঢুকে জেলার লবন মাঠে থাকা দুই হাজার একশত মেট্রিক টন লবন পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি লবন নষ্ট হয়েছে সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী গোমাতলী ও ইসলামপুর এলাকায়।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন আজ এবং আগামীকালও পুর্নিমা জোয়ারের প্রভাব থাকবে। গতকাল রাত ও আজ জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সর্বোচ্চ চার ফুট বৃদ্ধি পাবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION